সঞ্চয় ব্যাংকের জনক হিসেবে খ্যাত রেভারেন্ড হেনরি ডানকান ১৮১০ খ্রিষ্টাব্দে স্কটল্যান্ডের এক গীর্জায় প্রখম সঞ্চয় ব্যাংক স্থাপন করেন। ইংল্যান্ডে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের ৬৫ বছর পূর্বে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র সঞ্চয়কারীদের সঞ্চয়ে উদ্বুদ্ধ করতে সরকারিভাবে ‘জাতীয় সঞ্চয় সংস্থা’ আত্মপ্রকাশ করে। বিশ্বযুদ্ধের পর জাতীয় সঞ্চয় সংস্থা ইংল্যান্ডের জাতীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছিল। জনগণকে সঞ্চয়ে উদ্বুদ্ধ করতে এবং ২য় বিশ্বযুদ্ধের কারণে সৃষ্ট মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে এ উপমহাদেশে ১৯৪৪ সালে ভারতে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অধীনে সর্বপ্রথম ‘জাতীয় সঞ্চয় সংস্থা’ কাজ শুরু করে। এ সংস্থার প্রধান কার্যালয় ভারতের সিমলায় অবস্থিত ছিল।
অতঃপর ১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের পর জাতীয় সঞ্চয়ের কার্যক্রম তদানীন্তন সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয়ের অধীনে স্থানান্তরিত হয়।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উদ্দ্যোগে দেশ স্বাধীনের পর ১৯৭২ সালে জাতীয় সঞ্চয় পরিদপ্তর প্রতিষ্ঠা করা হয়।সঞ্চয় সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম জোরদার হওয়ায় এবং এর কলেবর বহুগুণ বৃদ্ধি পাওয়ায় বর্তমান সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী
বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ সিদ্ধান্তে ২০১৪ সালে জাতীয় সঞ্চয় পরিদপ্তরকে জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তর-এ উন্নীত করা হয়।
বিভাগীয় পর্যায়ের কার্যালয়সহ ৬৪টি জেলায় জেলা কার্যালয় এবং ৭টি বিশেষ সঞ্চয় ব্যুরো কার্যালয়ের মাধ্যমে মাঠ পর্যায়ের কার্যক্রম অভ্যন্তরীন সম্পদ বিভাগের তত্ত্বাবধানে জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের সরাসরি নিয়ন্ত্রনে পরিচালিত হচ্ছে।
অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি পাহাড়বেষ্টিত পার্বত্য বান্দরবান অঞ্চলে সঞ্চয় অফিসের যাত্রা শুরু ১৯৭৬ সালে।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস